আজ থেকে ২৭ বছর আগে নাকাশিপাড়া কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে কালিপদ বিশ্বাস চালু করেছিলেন মানুষ ঝুলন।
মানুষ ঝুলন – লুপ্তপ্রায় এক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে চলেছে নদীয়ার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম।
নদীয়া জেলার নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ভাগীরথী নদীর তীরে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম। প্রাচীন এই গ্রামে বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী।
গ্রামের প্রথা মেনে রাখী পূর্ণিমার আগে একাদশীর দিন ঝুলনের পূজা হয়। দ্বাদশী থেকে ঝুলন পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে মানুষ ঝুলন।
আজ থেকে ২৭ বছর আগে নাকাশিপাড়া কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে কালিপদ বিশ্বাস চালু করেছিলেন মানুষ ঝুলন।
কাশিয়াডাঙ্গার গ্রামের মানুষ অবশ্য তার আগে থেকে গ্রামের ছেলে মেয়েদের রাধাকৃষ্ণ সাজিয়ে পুতুল ঝুলনের মঞ্চে বসিয়েছিলেন, কিন্তু তা হলেও আজকের মত বড় আকারে বিভিন্ন পৌরাণিক, ধর্মীয় ও সামাজিক কাহিনী অবলম্বনে ছেলে মেয়েদের সাজিয়ে ঝুলনের শুরু কালিপদবাবুর হাত ধরেই।
যদিও করোনা পরিস্থিতির বছর দুয়েক জন্য নম নম করে ঝুলন হলেও এ বছর গ্রামের মানুষ আবার মেতে উঠেছেন ঝুলন উৎসবে।



0 মন্তব্যসমূহ